টানা ব্যর্থতায় ডুবতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অবশেষে পেল সাফল্যের দেখা। ধুঁকতে থাকা ইউনাইটেড এবার রুখে দিয়েছে শিরোপার অন্যতম দাবিদার লিভারপুলকে।

অন্যদিকে অলরেডরা ড্র করার রাতে দারুণ জয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে আর্সেনাল।
অ্যানফিল্ডে গতকাল লিভারপুলের সঙ্গে ০-০ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে বোর্নমাউথের কাছে হারে ইউনাইটেড। এরপর চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে ইউরোপের শীর্ষ টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে পড়ে রেড ডেভিলরা।

যদিও লিভারপুলের মাঠে আহামরি কোনো ফুটবল প্রদর্শনী দেখাতে পারেনি ইউনাইটেড। বরং লিভারপুলের আক্রমণ থামাতেই বেশি ব্যস্ত ছিল তারা। স্টপেজ টাইমে দলটির দিয়োগো দালত লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।

কিন্তু তারপরও ম্যাচ শেষে খুশি হতেই পারেন ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগ। আর তাতে লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের মুখের হাসি উধাও হয়ে গেছে। কারণ জিতলেই আবার শীর্ষে ফেরা হতো তার দলের।

প্রথমার্ধে লিভারপুলের দাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইকের দারুণ এক প্রচেষ্টা রুখে দেন ইউনাইটেড গোলকিপার আন্দ্রে ওনানা। দ্বিতীয়ার্ধে আবার লিভারপুলের গোলকিপার আলিসন ব্যর্থ করে দেন ইউনাইটেডের রাসমাসের প্রচেষ্টা। বল দখলে এগিয়ে ছিল লিভারপুল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি কোনো সুযোগ।

অন্যদিকে লিভারপুল-ইউনাইটেড ম্যাচের আগে আর্সেনাল ২-০ গোলে ব্রাইটনকে হারিয়ে শীর্ষস্থান দখলে নেয়। ৫৩তম মিনিটে গানারদের এগিয়ে দেওয়া গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস। এরপর ৮৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কাইল হাভার্টজ।

ব্রাইটনকে হারানোর পর ১৭ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এলো আর্সেনাল। অন্যদিকে সমান ম্যাচে লিভারপুলের সংগ্রহ ৩৮ পয়েন্ট। অর্থাৎ ইউনাইটেডকে হারাতে পারলেই শীর্ষে ফিরতো লিভারপুল। ক্লপের দলের সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে অ্যাস্টন ভিলা। আর ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে ম্যানচেস্টার সিটি। আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে অষ্টম স্থানে।